মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম
মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম অনেকেই জানেনা। যেহেতু এটি একটি নফল ইবাদত তাই অনেক মহিলারা নফল ইবাদত করার জন্য মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম
- মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম
- সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত
- সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত
- সালাতুল তাসবিহ নামাজ কেন বিদআত
- আমাদের শেষ কথা
মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম - সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও সূরা
সালাতের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সালাত হচ্ছে সালাতুল তাসবিহ। সালাতুল তাসবিহ নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। অনেক মহিলারা এই নামাজটি পড়তে চাই কিন্তু তারা মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানেনা যার ফলে মানুষটি পড়তে পারেনা। পুরুষ এবং মহিলার জন্য সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম একই। সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও সূরা গুলো উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
সালাতুল তাসবিহ চার রাকাত। প্রতি রাকাতে "সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবর" তাসবিহ গুলো ৭৫ বার করে পাঠ করতে হবে। চার রাকাতে ৭৫ বার করে পাঠ করলে মোট ৩০০ বার পাঠ করা হয়।
নিয়মঃ ১ - প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পরে ১৫ বার পড়তে হবে উপরের তাসবিহ গুলো। তারপর সূরা ফাতিহা তারপর কোরআন থেকে কেরাত পাঠ সম্পন্ন করতে হবে।
নিয়মঃ ২ - রুকুতে যাওয়ার পূর্বে ১০ বার উপরে উল্লেখিত বাক্য গুলো পাঠ করতে হবে।
নিয়মঃ ৩ - রুকু করবে এবং রুকু অবস্থায় দোয়ার পরে ১০ বার তাসবীহগুলো পাঠ করতে হবে।
নিয়মঃ ৪ - রুকুর থেকে মাথা উঠানোর পরে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় উক্ত তাসবিহগুলো ১০ বার পড়তে হবে।
নিয়মঃ ৫ - সিজদায় দেয়া যাবে এবং সিজদা অবস্থায় উক্ত তাসবীহগুলো ১০ বার পাঠ করতে হবে।
নিয়মঃ ৬ - সিজদা থেকে মাথা উঠানোর পরে উক্ত তাসবীহগুলো আবার ১০ বার পাঠ করতে হবে।
নিয়মঃ ৭ - পুনরায় সিজদায় গিয়ে আবার দশ বার উল্লেখিত তাসবিহ গুলো পাঠ করতে হবে।
নিয়মঃ ৮ - সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে আবার দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে তাসবীহগুলোকে পাঠ করতে হবে। এভাবে প্রতি রাখাতে তাসবিহ গুলোকে পাঠ করতে হবে ৭৫ বার করে।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত
সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত রয়েছে তাই মুসল্লীগণ এই নামাজটি আদায় করে থাকে। যদি সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত না থাকতো তাহলে মানুষেরা এত আগ্রহের সাথে এই নামাজটা আদায় করতেন না। মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম জানতে চাইতেন না। সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত এত বেশি যে এ বিষয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নবী সাঃ বলে গিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ তার চাচা হযরত আব্বাস রাঃ কে বলেন চাচা আপনি সালাতুল তাসবিহ নামাজ সপ্তাহে একবার তা না হলে মাসে একবার তাও না পারেন তাহলে অন্তত বছরে একবার আদায় করবেন। যদি বছরে একবার সালাতুল তাসবিহ নামাজ আদায় করতে অক্ষম হন তাহলে সারা জীবনে হলেও একবার সালাতুল তাসবিহ নামাজ আদায় করবেন।
আরো পড়ুনঃ শীতের কুয়াশা নিয়ে কবিতা - শীতের কুয়াশা নিয়ে স্ট্যাটাস
উপরে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথা অনুযায়ী বোঝা যায় যে আমাদের জীবনে একবার হলেও সালাতুল তাসবিহ নামাজ আদায় করা উচিত কারণ এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে এই নামাজ দ্বারা জীবন ছোট বড় স্বেচ্ছায় অনিচ্ছাই নতুন পুরাতন সকল প্রকারের গুনাহ গুলোকে মাফ করে দেওয়া হয়। তাই এর ফজিলত এত বেশি যে এই নামাজটি জীবনে একবার হলেও করা উচিত।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি সুন্নত - সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি সুন্নত? যেহেতু এই নামাজ সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলে গিয়েছেন তাই নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝা যায়। সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত এ নিয়ে অনেকের মাঝে প্রশ্ন আছে। সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি সুন্নত নাকি নফল তা জেনে নেওয়া যাক।
ইসলাম ধর্ম যারা পালন করে তাদের জন্য এটি একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। আপনার যদি ইচ্ছা হয় তাহলে এই ইবাদতটি পালন করতে পারেন এখানে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। আবার আপনি যদি এই ইবাদতটি পালন করতে না চান তাহলে কোন ধরনের গুনহা হবে না। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সবার জন্য বাধ্যতামূলক এটা তেমন নয়।
অনেকেই ভুল ধারণা করে থাকেন যে সালাতুল তাসবিহ নামাজ সুন্নত নামাজ। সালাতুল তাসবিহ নামাজ সুন্নত নামাজ নয় এটি একটি নফল ইবাদত। যদি আপনি সালাতুল তাসবিহ নামাজ আদায় করেন তাহলে অনেক সওয়াব এর অধিকারী হবেন আর যদি কোন কারণে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতুল তাসবিহ নামাজ আদায় না করেন তাহলে কোন ধরনের গুনাহ হবে না।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ কেন বিদআত
সালাতুল তারাবি নামাজ কেন বিদআত? এ প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকে বিশেষ করে যারা এই নামাজকে বিদআত মনে করে। আমরা যেহেতু আজকে মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি তার সাথে সালাতুল তারাবি নামাজ কেন বিদআত? জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিটি ইবাদত ও পদ্ধতিতে পালন করতে হবে যে পদ্ধতিতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরাম রাঃ পালন করে গিয়েছেন। এছাড়া ইবাদত পালনের নতুন কোন পদ্ধতি আবিষ্কার করা হলে তাকে বিদআত বলা হবে।
আরো পড়ুনঃ হতাশা থেকে মুক্তির ইসলামিক উপায়
যেহেতু সালাতুল তাজবিহ নামাজ একাকীভাবে পড়ার কথায় হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। জামাতের সাথে করার কোন প্রমাণ নবীজি সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত নয় তাই যারা এই কাজটি করবে তাদের বিদআত হবে।
আমাদের শেষ কথাঃ মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম
প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম, সালাতুল তারাবি নামাজ কেন বিদআত? সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি সুন্নত? সালাতুল তাসবিহ নামাজ নফল নাকি সুন্নত? সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত, সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও সূরা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
যে সকল মহিলারা, মহিলাদের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানে না তারা এই আর্টিকেল থেকে উক্ত বিষয়টি জেনে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে পারবে। তার জন্য আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে হবে।২০৭৯১
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url