OrdinaryITPostAd

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ - টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

যক্ষ্মা রোগ দেখা দিলে যক্ষা রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ গুলো দেখে আমরা সাধারণত এই রোগকে প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করে থাকি। তাই আমাদের উচিত যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঝটপট যক্ষ্মা রোগের লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক। বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ যক্ষ্মারোগের লক্ষণ - টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ - টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - গ্লান্ড টিভি লক্ষণ

যক্ষা একটি সংক্রামক রোগ যা একটি জীবাণুর কারণে হয়ে থাকে। যক্ষা শব্দটা এসেছে রাজ ক্ষয় থেকে। ক্ষয় বলার কারন এতে রোগীরা খুব রোগা হয়ে পড়েন। যক্ষা শরীরের যে কোন অঙ্গে হতে পারে। যক্ষা সব থেকে বেশি দেখা যায় ফুসফুসে যার ফলে যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানা থাকলে আমরা খুব সহজে এদিকে প্রতিরোধ করতে পারি।

আরো পড়ুনঃ দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

গ্লান্ড টিভি লক্ষণ ও টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রায় একই রকম। যেহেতু এটি একটি মরণব্যাধি তাই আমাদের এর বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ সহ গ্লান্ড টিভি লক্ষণ জেনে নেওয়া উচিত।

১। যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সন্ধ্যা বেলায় জ্বর আসা।

২। খাবার খাওয়ার পরিমাণ ঠিক থাকে কিন্তু শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে শুকিয়ে যায়। 

৩। অতিরিক্ত পরিমাণে কফ হওয়া। এই কফ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

৪। অনেক সময় দেখা যায় কফ এর সাথে রক্ত বের হচ্ছে।

৫। অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন কমে যাওয়া। গ্লান্ড টিভি লক্ষণ।

৬। সবসময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকা। কারো কোনো কথা সহ্য করতে না পারা।

টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারঃ

উপরে যে লক্ষণগুলো আলোচনা করেছি একই লক্ষণ টিবি রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিন্তু আমরা চাইলে এর প্রতিরোধ করতে পারি।

১। জন্মের পর পর প্রত্যেক শিশুকে বি সি জি টিকা দিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে যক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাই।

২। আত্মীয় স্বজনদের মাঝে কারো যদি রক্ষা হয়ে থাকে তাহলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে।

৩। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে যেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সেদিকে খেয়াল রেখে।

৪। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটি শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

৫। বসবাসের পরিবেশ খোলামেলা এবং আলোপাতার যুক্ত রাখতে হবে এবং অবশ্যই বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

যক্ষা রোগের কারণ

আমাদের দেশে যক্ষা এখনো একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ছয় হাজার যক্ষা রোগী মারা যায়। এই মরণ ব্যাধি যক্ষা রোগের কারণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নয়। যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ জানার আগে প্রথমে আমাদের যক্ষা রোগের কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে এই রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়ার উপায় পেয়ে যাব।

সাধারণত যক্ষা সংক্রামক ব্যাধি এ রোগের মূল কারণ হলো মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের জীবাণু। এই জীবাণুর ফলেই মানুষের রক্ষা হয়ে থাকে। বাতাসের মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পরে। যার ফলে আমরা যখন বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি তখন সেগুলো আমাদের ভেতরে প্রবেশ করে।

যক্ষা রোগে যেখানে সেখানে হাঁচি কাশি করে দেয় যার ফলে জীবন গুলো বাতাসের সাথে মিশে যক্ষা রোগ হওয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি একটি বায়ুবাহিত রোগ। বিশেষ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যক্ষা রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রথমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিক রাখতে হবে।

যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর মাধ্যমে এটিকে ভালো করা সম্ভব। কয়েকটি বিষয়ের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে এই রোগে এর ক্ষেত্রে তাহলে আপনি এখান থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে না হলে এর সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে। নিচে যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ প্রসাবের রাস্তায় মাংস বৃদ্ধি - মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় মাংস বৃদ্ধি

১। প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে হবে। কারণ এটি যক্ষা ভালো করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

২। খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গের গুঁড়া এর সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে যক্ষার ক্ষেত্রে ভালো সুফল পাওয়া যায়।

৩। মধু ও মাখন খেলে যক্ষা ভালো করার ক্ষেত্রে সেটি উপকারী ভূমিকা পালন করে।

৪। রসুনের রস এর সাথে আধা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ফুসফুসকে মজবুত করতে এবং যক্ষা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৫। বেশি বেশি করে কলা খেতে হবে। কারণ কলা যক্ষা রোগের রোগ প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৬। যক্ষা রোগীর প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম আঙ্গুর খাওয়া উচিত।

সূত্রঃ সময় নিউজ টিভি

যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাড়াতাড়ি যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। সঠিক সময়ে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা না করালে এর কারণে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। যক্ষা এমন একটি রোগ যা মারাত্মকভাবে শরীরের ক্ষতি করে থাকে। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই দ্রুততার সাথে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করা উচিত।

তবে যক্ষা রোগের চিকিৎসার দীর্ঘমেয়াদী। এর ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। নিয়ম মেনে রোজ সকালে খালি পেটে ওষুধ খেতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। এছাড়া বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিক্ষা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ডাক্তার যক্ষা রোগকে নির্ণয় করবে। শরীর ও মানসিকভাবে রক্ষা রোগীর অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতি থাকে।

জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করা হয়। দেরি না করে যক্ষা রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা করাতে হবে। প্রধানত চারটি ওষুধ দিয়ে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করা হয়।

টিবি রোগের ঔষধের নাম

টিবি রোগের সুস্থতার জন্য টিবি রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে জানা জরুরী। কারণ এটি একটি মরণব্যাধি। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের উচিত টিবি রোগের ঔষধের নাম জানা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেগুলোকে খাওয়ানো। যক্ষা রোগের চিকিৎসায় যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলঃ

  • রিফ্যাম্পিন
  • আইসোনায়াজিড
  • এথামবিউটল
  • পিরাজিনামাইড

অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ানো উচিত। কারণ এ রোগের চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হবে। না হলে এর সংক্রমণ বেড়ে গেলে ধীরে ধীরে এটি মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

আমাদের শেষ কথাঃ যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ - টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ, টিবি রোগের ঔষধের নাম,যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা, যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, যক্ষা রোগের কারণ, টিবি রোগের কারণ ও প্রতিকার,গ্লান্ড টিভি লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি এই মরণব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো জানতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের চুলের জন্য কোন তেল ভালো

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ধন্যবাদ। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url