স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় - স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয়
সূচিপত্রঃ স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় - স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয়
- স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয়
- বাচ্চার স্পিচ থেরাপি
- স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয়
- ক্যারিয়ার হিসেবে স্পিচ থেরাপির সম্ভাবন
- শেষ কথা
স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয়
আজকে আমরা স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় সেটা নিয়ে আলোচনা করব। আসলে জন্মের সাথে সাথে একজন মানুষের ভাষা শিখার শুরু হয়ে থাকে। তবে একটা বাচ্চার ভাষা শিখার প্রথম একটা পয়েন্ট হচ্ছে শুনতে পাওয়া। সেজন্য আপনার আওয়াজে কিংবা যে কোন শব্দে নিউবর্ন বেবি সে দিকে চোখ ঘুরাচ্ছে কিনা বা মাথা ঘুরাচ্ছে কিনা সেগুলো শুরু থেকেই খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু আমাদের দেশে রুটিন চেকআপ হিসেবে কানের কোন পরীক্ষা করানো হয় না, সেহেতু কোনরকম সন্দেহ মনে হলে আমাদের নিজে থেকেই নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
যতক্ষণ বাচ্চার জেগে থাকে তার সাথে একটু একটু করে কথাবার্তা বলা দরকার। বিশেষ করে বাচ্চার তিন মাস বয়স থেকেই শুরু করতে হবে কথাবার্তা বলার। স্বাভাবিকভাবে ই যে বাচ্চা যত বেশি কথা শুনতে পাবে সে বাচ্চা তত বেশি কথা শিখবে। অনেকেই এখন ভাবতে পারেন যে, ছোট বাচ্চার সাথে এত কি বলবো? সেক্ষেত্রে একটা সহজ টিপস হচ্ছে, আপনি যেটাই করছেন সেটাই বাচ্চার সাথে বলেন। গোসল করালে সেটাও বলেন, কোন কিছু খাওয়ালে সেটাও বলেন। এভাবে বলতে থাকলে কথা খুঁজে না পাওয়ার আর কোন কারণ থাকবে না।
বাচ্চার স্পিচ থেরাপি
বাচ্চার স্পিচ থেরাপি বলতে বাচ্চাকে ছোট থেকেই কথা বলানোর অভ্যাস করে তোলা। যথাসম্ভব বাচ্চার সাথে কথা বলা ও তাকে যথেষ্ট সময় দেয়া দরকার। তবে বাচ্চার সাথে বেবি টক না করাই ভালো হবে। চেষ্টা করতে হবে যতটুকু সম্ভব বিকৃতি শব্দ আর বেবি টক রাখা যায়। এতে করে খুব সহজে বাচ্চা ইনস্ট্রাকশন বুঝতে শিখে। বাচ্চার তিন মাস বয়স পর থেকেই ঘরের যাবতীয় জিনিস যেমন টিভি, ছবি, ফ্রিজ, বাথরুম, ফ্যান এগুলোর কোনটা কি সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখাতে হবে আর মুখে বলতে হবে। এর ফলে সে খুব তাড়াতাড়ি শব্দগুলো পয়েন্ট আউট করতে পারবে।
বাচ্চাকে কোন শব্দ বলা শিখানোর জন্য কোন এলটারনেটিভ নাই রিপিটেশন এর। স্বাভাবিকভাবে ই ১২ মাসের বাচ্চা রা দাদা, মামা, মা-বাবা এগুলো বলে থাকে। ৫০ টার মতো শব্দ ১৮ থেকে ২৩ মাসের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বলতে পারে। বাচ্চা যদি দুই বছর পার হয়ে যাবার পরও ৫০ টা শব্দর কাছাকাছি বলতে না পারে, সে ক্ষেত্রে স্পিচ থেরাপি সেন্টারে যোগাযোগ করুন কিংবা শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। আমার এই পোস্টটা পড়লে বুঝতে পারবেন স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় বা স্পি্চ থেরাপি কিভাবে করা হয়। এটা বাচ্চার ক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রেসার নয় কিংবা আপনাকে প্যানিক এটাক দেয়া ও নয়।
আরো পড়ুনঃ প্রসাবের রাস্তায় মাংস বৃদ্ধি - মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় মাংস বৃদ্ধি
স্টেপ গুলো আগে থেকে নিলে কি রকম রেজাল্ট পাওয়া যায় আর কখন এলার্ট থাকতে হয় সে বিষয়ে জানানো আর কি। আজকাল প্রায় ফ্যামিলি ওয়ার্কিং আর মাইক্রো। সেক্ষেত্রে এগুলো শুরু থেকে বাচ্চার বাবা-মাকেই খেয়াল রেখে প্র্যাকটিস করাতে হবে। এক বছরের আগে বাচ্চাকে কোনভাবেই স্ক্রিন দিতে হবে না। ১০ মাসের পর ও যদি দিয়ে থাকে তাহলে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। আবার টিভি দেয়া টেব বা মোবাইল না দেয়ার থেকে মন্দের ভালো। ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে বাচ্চা অনেক কিছুই শিখে। কিন্তু তার জন্য ডিভাইস অপেক্ষা করে না, চালাতেই থাকে। এই কারণেই এসব বাচ্চা রেসপন্স করতে শিখে না, রিপ্লাই দেয় না। সেজন্য এসব ডিভাইস থেকে যতদূর সম্ভব বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে।
স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয়
অনেকে বলে থাকেন, মানুষ তার সুগঠিত ভাষার কারণে প্রাণী জগতের আলাদা স্থান করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তাত্ত্বিক তর্ক বিতর্ক থাকলেও এ কথা সত্য যে, আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতি হয়তো ভাষা না থাকলে তৈরি করা হত না। ভালোবাসা, নাটক, কবিতা, গান এসব কোনো কিছুই হত না। আমাদের যোগাযোগের সবচাইতে বড় মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। আমরা আমাদের মনের কথা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কথা বলার মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। তাহলে কথা বলার সেই সৌভাগ্যটা নিয়ে যারা জন্মায়নি তাদের কথাটা একবার ভেবে দেখুন। তাদের মনের কথাটা বলতে কতটা কষ্ট হয়।
অনেক মানুষই আছেন এই যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ত্রুটি যাদের প্রকৃতি দত্ত থেকেই যায়। অনেক শিশুকেই দেখা যাচ্ছে যে বড় হচ্ছে অথচ কথা বলতে পারছেন না। তাদের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে রয়েছেন স্পিচ থেরাপি। এখন যারা জানেনা তারা হয়তো ভাববে স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় বা স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয়। তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটা। অনেক মানুষ আছে যারা জন্ম থেকেই বাক প্রতিবন্ধী। ঠোঁট বা তালু কাটা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, উচ্চারণগত সমস্যা, তোতলানো, পক্ষাঘাত ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে স্বাভাবিক যোগাযোগে অনেক মানুষ সমর্থ হয় না।
আরো পড়ুনঃ ঈমান বৃদ্ধির দোয়া - ঈমান বৃদ্ধি করার বই
এ ধরনের সমস্যার জন্য আমাদের দেশে সহজলভ্য চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এ ধরনের যোগাযোগ বৈকল্যের থেরাপিকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় স্পিচ থেরাপি। স্পিচ থেরাপিস্টরা স্বাভাবিক যোগাযোগে অসমর্থ্য মানুষদেরকে স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে থাকেন। বাক প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পিচ থেরাপিস্টরা বিশেষ কিছু কৌশল বার করেছেন। এ সকল সমস্যা যার সাহায্যে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়ে থাকে। বাকপ্রত্যঙ্গে অপারেশনের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনে তারা করে দিয়ে থাকেন।
ক্যারিয়ার হিসেবে স্পিচ থেরাপির সম্ভাবন
বাংলাদেশ বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানসহ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্পিচ থেরাপিস্টদের নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থাগুলোতে এ ধরনের সেবা যারা দিয়ে আসছে, স্পিচ থেরাপিস্ট হিসেবে সেখানেও চাকরির সুযোগ আছে। আপনাকে বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয় বা স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় সবকিছু শেখানো হবে। যেন আপনি প্র্যাকটিক্যালি করার সময় স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয় সে সম্পর্কে ধারণা থাকে। বাংলাদেশে স্পিচ থেরাপির পরিধি ক্যারিয়ার হিসেবে বাড়ছে। একটা বড় জনগোষ্ঠী যোগাযোগ বৈকলের সমস্যায় বাংলাদেশে ভুগছে। একটা বড় আয়ের ক্যারিয়ার গড়া যেমন স্পিচ থেরাপিস্ট হবার মাধ্যমে সম্ভব তেমনি এই জনগোষ্ঠীর সেবা করার সুযোগ ও পাওয়া যায়।
শেষ কথাঃ স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় - স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয়
স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় এবং স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয় সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় এবং স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয় সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় এবং স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয় সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই স্পিচ থেরাপি কিভাবে দেয় এবং স্পিচ থেরাপি কিভাবে করা হয় সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
https://benuminternational.blogspot.com/2023/10/protect-your-skin-from-winters-chill.html
Protect Your Skin from Winter's Chill