কাজু বাদাম উপকারিতা - কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
আপনারা কি কাঠ বাদাম এর উপকারিতা এবং কাজু বাদাম উপকারিতা মানে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব কাজু বাদাম উপকারিতা, কাঠ বাদাম এর উপকারিতা এবং কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম বা কাজু বাদাম খাওয়ার সময় সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, কাজু বাদাম উপকারিতা, কাঠ বাদাম এর উপকারিতা এবং কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ কাজু বাদাম উপকারিতা - কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
কাজু বাদাম উপকারিতা
বাদামের জগতে একটা রাজকীয় স্থানে আছে শারীরিক উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাদাম সেটা হচ্ছে কাজু বাদাম। Cashew nuts হল যার ইংরেজি প্রতিশব্দ। কাজু বাদাম উপকারিতা হচ্ছে অনেক। গুণাগুণের দিক দিয়ে কোন বিকল্প নাই কাজু বাদাম এর। কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন। স্বাস্থ্যকর সব খাবারের মধ্যে কাজু বাদাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ খাবার। এটা নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান পাবেন। কাজু বাদাম খেয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ শীতের কুয়াশা নিয়ে কবিতা - শীতের কুয়াশা নিয়ে স্ট্যাটাস
কেউ যদি নিয়ম করে প্রতিদিন এক মুঠ কাজুবাদাম খাবার অভ্যাস করে থাকে তাহলে তার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। কাজু বাদাম উপকারিতা রয়েছে অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না। আবার বেশি পুষ্টি থাকার কারণে বেশি খাওয়াও যাবে না। বেশি খেলে শরীরে কিছু কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চলুন দেখাশি কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো।
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রত্যেকটা জিনিসের কিছু নিয়মকানুন এবং সীমারেখা থাকে। তাই কোন কিছু অতিরিক্ত ভালো না আবার কম ও ভালো না। তাই সবকিছু নিয়মের মধ্যে রাখা উচিত। তাই কাজু বাদাম উপকারিতা যেমন আছে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত হলে এর অপকারিতা ও রয়েছে। এখন আমরা কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানব।
উপকারিতাঃ- কাজু বাদাম খেলে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
- কাজুবাদামের প্রধান উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি লোককে দূরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রকম হার্টের অসুখ থেকে বাঁচাতে বিশেষ ধরনের কাজ করতে পারে। অর্থাৎ হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস এর মত ব্যাধি রোধ করতে পারে।
- হাড়কে মজবুত এবং শক্তিশালী বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- ক্যান্সারের মত মরণ ব্যাধি অসুখকে দূরে রাখতে কাজু বাদাম এর ভূমিকা অপরিসীম।
অপকারিতাঃ
কাজুবাদাম খেলে যেমন উপকারিতা পাওয়া যায় তেমন অতিরিক্ত মাত্রায় কাজুবাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা অতিরিক্ত মাথায় কাজু বাদাম খেলে কিন্তু শরীরের উপকারের পরিবর্তে বেশি হবে অপকারটা। কারণ বেশি মাত্রায় এর উপাদান গুলো শরীরে গেলে তার ফল উল্টো হতে শুরু করে দেয়। সেজন্য সব সময় কাজু বাদাম খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। তাহলে এই না সুফল পাওয়া যাবে এর।
কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
কাঠ বাদাম এর উপকারিতা কাজু বাদাম উপকারিতা এর থেকে কম নয়। কাঠ বাদামে ও রয়েছে অনেক উপকার। এখন আমরা কাঠ বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানব-
- কাঠবাদাম হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে থাকে।
- ওজন কমাতে কাঠ বাদাম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কাঠ বাদামে উপস্থিত মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট খিদে কম করে এবং পেট ভরিয়ে রাখতে সহায়তা প্রদান করে।
- কাঠ বাদাম হৃদয় ভালো রাখতে সহায়তা করে। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল গুলোকে (লো ডেনসিটি লিপো প্রোটিন) নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।
- ভেজানো কাঠ বাদামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফোলা ভাব কমাতে এবং অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে থাকে ভেজানো কাঠ বাদামে উপস্থিত ভিটামিন b17।
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম খেলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসতে সহায়তা করে।
- স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞরা সন্তান সম্ভাবাদের নিয়ম করে ভেজানো কাঠবাদাম খাবার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে করে উপস্থিত ফলিক এসিড শিশুর জন্মের সময় খুত দূর করতে থাকে।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম| কাজু বাদাম খাওয়ার সময়
এখন আমরা কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম বা কাজু বাদাম খাওয়ার সময় সম্পর্কে আলোচনা করব। কেননা সবকিছুই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। কাজু বাদাম খাওয়াতে অনেক উপকারিতা আছে। সেজন্য কাজুবাদাম নিয়মিত ভাবে খাবার অভ্যাস করতে হবে। তবে কোন সময় বা কি নিয়মে খাবেন সেটা জানা প্রয়োজন। তাই আপনাকে প্রথমে ঠিক করা লাগবে আপনি কাজুবাদাম কেন খাবেন এবং কোন সময়ে খাবেন? আপনি যদি ডায়েট করার জন্য কাজু বাদাম খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সকালে নাস্তার পরে এবং দুপুরে খাওয়ার আগের সময়।
অর্থাৎ ১১.০০-১.০০ টার মধ্যে খেতে পারেন এক মুঠ কাজু বাদাম। আবার যখন বিকেলে হালকা ক্ষুধা লাগে তখন অন্য খাবার না খেয়ে নাস্তা হিসেবে ৪.০০-৫.৩০ টার মধ্যে এক মুঠ কাজু বাদাম খেতে পারেন। এতে করে আপনার ক্ষুধা ও মিটে যাবে এবং তার সাথে আপনার ডায়েট ও ঠিক থেকে যাবে। আবার এছাড়াও যদি আপনি অন্য কোন কারণে কাজ বাদাম খেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে ১০-১২ টি কাজু বাদাম রাত্রে ভিজিয়ে রাখার পর তা সকালবেলায় খেয়ে নিবেন।
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বলতে গেলে কিছু কিছু সমস্যা পাওয়া যায়। যেমন ওজন বৃদ্ধি করা।
ওজন বৃদ্ধিঃ এক মুঠ কাজু বাদামে রয়েছে ১৭০ ক্যালরি। ডায়েটারি গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রতিদিন আমাদের শরীরে ১৬০০ থেকে ২৪০০ পর্যন্ত ক্যালোরির দরকার হয়। সেখানে যদি আমরা বাদামেই এত ক্যালরি গ্রহণ করে ফেলি, সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে ক্যালরি গ্রহণ করার পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়। আর তখন আমাদের ওজন বাড়তে থাকে।
মিনারেলের শোষণে বাধাঃ মিনারেলের শোষণে বাধা প্রদান করে থাকে। বাদাম বেশি খেলে আমাদের শরীরে মিনারেল শোষণ কম করে দেয়। বাদামে উপস্থিত ফাইটিক এসিড এর জন্য দায়ী।
আরো পড়ুনঃ দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
উচ্চ রক্তচাপঃ বাদামে সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকার কারণে যখন আপনি একটু লবণ দিয়ে বাদাম খেতে যাবেন তখনই সেটা হঠাৎ করে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেবার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম ফ্লুইড এবং পানি শোষণ করে নেয় রক্ত প্রবাহ থেকে। যার ফলে দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ।
এলার্জির সমস্যাঃ এলার্জির সমস্যা যাদের আছে, অতিরিক্ত বাদাম খেলে নতুন করে তা থেকে এলার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে। বাদাম থেকে এলার্জি সৃষ্টি হবার কিছু লক্ষণ হচ্ছে-শ্বাসকষ্ট, ত্বকের চুলকানি এবং ডায়রিয়া।
শেষ কথাঃ কাজু বাদাম উপকারিতা - কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
আজ আর নয়, কাজু বাদাম উপকারিতা ও কাঠ বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই কাজু বাদাম উপকারিতা ও কাঠ বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url